June 30, 2024, 12:28 pm

সংবাদ শিরোনাম
চিলমারীতে আবারও শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ দুর্নীতিরোধে দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রণয়ন এবং কমপক্ষে যাবজ্জীবন শাস্তির দাবিতে বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুত্তুলিকা দাহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর মোবাইল যুগে প্রবেশের জন্য বাণিজ্যিক ফাইভজি অ্যাডভান্সের ওপর হুয়াওয়ের গুরুত্বারোপ পটুয়াখালীতে ২৬ হাজার ৮ শত ৮০ পিচ ক্যান নিষিদ্ধ বিয়ার সহ আটক-৩ রংপুর বিভাগের সমবায় কর্মকর্তা ও সমবায়ী কর্তাদের নৈরাজ্যে কোটি কোটি টাকা লোপাট-দিশেহারা সাধারণ সমবায়ী গোয়াইনঘাটে হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা ফাউন্ডেশনের ঢেউটিন বিতরণ কুড়িগ্রামের ভুরুমারীতে ভিনদেশী রঙের দুই সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাবা মা নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর কান্তা হত্যার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মামুনকে গ্রেফতার করলো রৌমারী থানা পুলিশ পটুয়াখালীতে ১ হাজার ২’শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৬ হাজার নারিকেল চারা বিতরন সান্তাহার পৌরসভার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

গ্রেনেড হামলার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি, জোর করে তারেকের নাম বলানো হয়েছে: রিজভী

গ্রেনেড হামলার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি, জোর করে তারেকের নাম বলানো হয়েছে: রিজভী

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। রিজভী বলেন, সামগ্রিক ও নিরপেক্ষ তদন্তকে বাধা দিয়ে সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম দেওয়া হয়েছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল ওয়ান ইলেভেনের তথাকথিত সরকারের তদন্ত কিংবা তখন দেওয়া চার্জশিটেও তারেক রহমানের নাম ছিলো না। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জোর করে, পিটিয়ে, হাতের নখ তুলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে। রিজভী বলেন, স্বীকারোক্তিকারীরাও বিচারকের কাছে বলেছিলেন, তাদেরকে অকথ্য নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জনমনে সন্দেহ রয়েছে- গ্রেনেড হামলার নীলনকশার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত কিনা। এটা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের নীল নকশার মাস্টার প্লান। যে কোনো সরকারের আমলেই নানা ষড়যন্ত্র হয় দাবি করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে পিলখানা হত্যাকাণ্ড হয়েছে না? তাহলে সেজন্য কি আওয়ামী লীগ দায়ী? নাইন ইলেভেনের যে ঘটনা ঘটলো সেখানে তো কেউ বলেনি যে যারা সরকারে ছিল তাদের কারণে হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কত ধরনের হানাহানি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে। এখন কোথা থেকে কী হয়েছে সেটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বের করতে হবে। কিন্তু মনে হয়েছে এই ঘটনাটা টার্গেট করে নিয়ে যেতে হবে তারেক রহমানের দিকে। তাকে উদ্দেশ্যমূলক ফাঁসানোর জন্য তারা ক্ষমতায় এসে জোর করে আসামিদের পিটিয়ে হাতের নখ তুলে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। তারপরও কিন্তু তারা ম্যাজিস্টেটের কাছে বলেছে যে জোর করে টর্চার করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। এরপর তো আর কোনো কথা থাকতে পারে না। এই বিভাজন, বিভেদ সন্ত্রাসের রাজনীতি তারাই সৃষ্টি করেছে। তাতে তো মনে হয় এ ঘটনা তাদেরই পরিকল্পিত ছিল কিনা সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সবকিছু তাদের হাতের মুঠোয়। তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য ঘটনা সবাই জানে। এটা গভীর নীল নকশার অংশ। এই নীল নকশার সঙ্গে ক্ষমতাসীনরা জড়িত কিনা সেটাই আজ সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অপরাধ করলে তারেক রহমান দেশ থেকে সরে যেত দাবি করে রিজভী বলেন, তিনি তো দেশ থেকে কোথাও যাননি। খালেদা জিয়া শেষদিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তার যে সংগ্রাম এ সংগ্রাম হচ্ছে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। এটা সম্পূর্ণ চক্রান্তের নীল নকশা মাস্টারপ্ল্যান করেছে তারা, যারা ক্ষমতাসীন। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অবজ্ঞা-উপহাস না করে দ্রুত তাকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, তাকে ফিরে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে দুখিনি বাংলাদেশ। রিজভী অভিযোগ করে বলেন, প্রকাশ্যে স্বগর্বে ঘোষণা দিয়ে দেশনেত্রীর জামিনে বাধা দিচ্ছেন স্বয়ং সরকারপ্রধান নিজেই। দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে উপহাস করে নিজেরাই চিকিৎসার জন্য বিদেশে দৌড়াচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী চোখের চিকিৎসার কথা বলে দুই দফায় দীর্ঘদিন লন্ডনে থেকে এসেছেন। শুধুমাত্র চোখের অপারেশনে এত দিন সময় লাগে কি না তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। রোগ-ব্যাধি-জরা বলেকয়ে আসে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বের আজ ৫৬০তম কালিমালিপ্ত দিবস। সুচিকিৎসার অভাবে চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটছে। তিনি আরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির যে সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে সেটি প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম। অনেকে প্রাইভেট হাসপাতা কিংবা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি না হতে পেরে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হচ্ছে না। রিজভী বলেন, ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়ালেও সরকার এ নিয়ে এখনও গুজব আবিষ্কারের মধ্যেই আছে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেছেন- ‘এডিস মশা মারার জন্য কার্যকর ওষুধ আনা হয়েছে’। অথচ প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে- এই ছিটানো ওষুধে এডিস মশা আরও উৎসাহিত হয়ে সন্তান-সন্ততি ব্যাপকভাবে উৎপাদন করে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হচ্ছে তা রীতিমত ‘বাকওয়াস’। ডেঙ্গু মরণের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে দেশে। ডেঙ্গু আক্রমণের পূর্বেই প্রস্তুতির অভাব এবং ডেঙ্গু রোগে মহামারিতে সারা দেশ আক্রান্ত হওয়ার পরও সরকারের উচ্ছ্বাস ও তামাশারও কোনো কমতি নেই। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন ঘাতক ও মৃত্যুরই সহাবস্থান। ঊর্ধ্বতন আদালতও বলেছেন বিচার না হওয়ার কারণে অধরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ন্যায়বিচারও এদেশ থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নজমুল হক নান্নু, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-দফতর সম্পাদক মুনীর হোসেন, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর